বিবরণ
মেয়েটির নাম সাঁঝবাতি। সন্ধেবেলা তার জন্মলগ্ন। সেই মুহূর্তে মেয়েটি দীপের আলোর মতো জ্বলে উঠেছিল। সন্ধে হলে মেয়ের গা দিয়ে আলো বেরোতে দেখেন ওর চিত্রকর বাবা। ছবি আঁকায় আর আঁকার ভাবনায় ডুবে আছেন তিনি। সেই ভাবনা থেকে এক একসময় তিনি সৃষ্টিরহস্যের কথা বলেন অবিরল। এইসব কথা শুনতে শুনতে আর বাবাকে দেখতে দেখতে বড় হয় মেয়েটি। তার নিজের ভেতরেও অন্য এক সত্তার অস্তিত্ব অনুভব করে সে। জীবনের রূপকথারা তাকে ঘিরে ধরে যেন। তারা বলে তুমি লেখো, লেখো। বাবা আর মেয়ের জগৎকে আঁচলের ছায়ায় ঘিরে রাখেন সাঁঝবাতির মা। এই পরিবারের একজন হয়ে যায় চিত্রকরের ছাত্রী দীপু। এই মানুষগুলির অন্তরে একদিন সংঘর্ষের ঝড় ওঠে। একে অপরের থেকে তারা ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু সৃষ্টিমগ্ন ভালবাসা তাদের আবার কাছে টেনে আনে।