Menu

রসরত্নাকর

Rasaratnakar
₹ 340 ₹ 400
15 %

বিবরণ

'মহাস্থানে মহাস্থানগড় ছাড়াও ভাসু বিহার, বৈরাগীর ভিটা, গোবিন্দের ভিটা, বেহুলার বাসরঘর সহ দেখার অনেক কিছু রয়েছে। কিন্তু গড়টাই হল প্রধান আকর্ষণের কেন্দ্র। মৌর্যযুগ থেকে নানা সময়কালের এখানে নানা নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। শেষ হিন্দুরাজা পরশুরামকে পরাস্ত করেছিলেন বলখি সুলতান মাহিসওয়ার। তাঁর নামে মাজার রয়েছে। গড়ের ভেতরে পরশুরামের প্রাসাদের অংশ রয়েছে। রয়েছে জীয় কুত, খোদার পাথর ভিটা।এককালের বিশাল নদী করতোয়া এখন খালে পরিণত হয়েছে। সেই নদীর পারে গড়টি বেশ উঁচুতে। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। টিকিটের ব্যবস্থা দর্শনার্থীদের জন্য হলেও রাজিয়া পদাধিকার বলেই প্রবেশ করলেন সবাইকে নিয়ে। গড়ের আয়তন বেশ বড়ো। ভেতরে জঙ্গল হয়ে রয়েছে। গড়ের প্রাচীর বেশ চওড়া। তিনজন মানুষ প্রাচীরের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে পারে। আশেপাশের গ্রামের ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষ খোদার পাথর ভিটায় দুধ ঢেলে দিয়ে যায়। মনোময়ের সামনেই একজন মহিলা দুধ ঢাললেন। পাশেই পাগলাটে এক সাধু টাইপের লোক বলে উঠলেন, মহম্মদকে খোঁজ কর বেটি।ঐতিহাসিক স্থানে হজরত মহম্মদের কথা বলে চলেছেন সাধু, না পাগল ব্যক্তিটি। রাজিয়ার পছন্দ হল না। পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ার সময় পাগল মানুষটি আবার বললেন, 'বেটি মহম্মদের নাম নে। সাঁই তোর ভেতরেই আছে।'এসব সংরক্ষিত এলাকায় পাগলদের কীভাবে ঢুকতে দিচ্ছে কে জানে। সিকিউরিটি ইনচার্জকে ধমকাতে হবে দেখছি' রাজিয়া গজগজ করতে লাগলেন।'ছাড়ো, রাজিয়া। টিকিট কেটে যে কেউ ভেতরে আসতে পারে। একজন মুসলিম মহিলা পাথরে দুধ ঢালছে দেখে হয়তো আপত্তি করলেন ওই পাগলাটে ধর্মপ্রবণ মানুষটি। তেমন কিছু ব্যাপার নয়। চলো।'
Page No:
Size: Demy