বিবরণ
প্রখ্যাত লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়-এর ‘পথের কাঁটা’ উপন্যাসের কথা সবার মনে আছে নিশ্চয়ই। কলকাতার রাস্তা দিয়ে জনৈক প্রৌঢ় হেঁটে চলেছেন। রাস্তা পার হওয়ার জন্য ফুটপাথ থেকে রাস্তায় যেই নেমেছেন, হঠাৎ পড়লেন মুখ থুবড়ে। স্পট ডেড। কিসে মৃত্যু হ’ল অনুসন্ধান করতে গিয়ে পোস্টমর্টেম পরীক্ষায় ডাক্তার জানালেন যে হৃৎপিণ্ডের মধ্যে একটি ‘গ্রামোফোন পিন’ বিঁধে মৃত্যু হয়েছে। এইভাবে ঘটে গেল বেশ কয়েকটি খুন। শেষে অজিতকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে ব্যোমকেশ ধরে ফেললেন আততায়ীকে।
‘পথের নতুন কাঁটা’ উপন্যাসেও বেশ কিছু খুন হয় গ্রামীন ও কমিশনারেট হাওড়া এবং চন্দননগর কমিশনারেটের বিভিন্ন থানা অঞ্চলে। তদন্ত করে ও অটোপ্সি রিপোর্টে খুঁজে পাওয়া যায় আততায়ীর পদ্ধতি। কিন্তু খুনের হাতিয়ার নিয়ে ধন্দে পুলিশ। হাওড়া কমিশনারেটের কমিশনারের অনুরোধে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং অধুনা ক্রিমিনোলজির অধ্যাপক ও কনসালটেন্ট ডিটেকটিভ’ শৌর্যনীল সিনহার কাছে আসে তদন্তে সাহায্য করবার অনুরোধ। তার আগেই অবশ্য পাঁচটি খুন হয়ে গেছে।
নীল কেস ডায়েরিগুলি পড়ে ও ঘটনা শুনে বলে যে এটি একটি সিরিয়াল কিলিং-এর ঘটনা। উঠে আসে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া সিরিয়াল কিলারদের কথা। নীল তার সহকারী ঋকে জানায় শরদিন্দুবাবুর লেখা ‘পথের কাঁটা’ গল্পের নানান দুর্বল দিকের কথা। সিআইডি-এর সঙ্গে যৌথভাবে তদন্তে, নীলের পদ্ধতি ও পরিকল্পনা মাফিক ধরা পড়ে আততায়ী।