বিবরণ
এই প্রথম দু মলাটের মধ্যে পাওয়া যাবে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের আত্মস্মৃতিমূলক যাবতীয় লেখা। নিজের বাল্যজীবন থেকে শুরু করে লেখক জীবন শুরুর মুহূর্ত অব্দি লেখা "খুদকুঁড়ো", লেখক জীবন শুরুর আগের সংগ্রাম এবং বিভিন্ন বিশিষ্ট মানুষ যারা তাকে লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছেন সেই নিয়ে "একটুখানি বেঁচে থাকা" এবং নিজের জীবনের বিভিন্ন টুকরো কথা নিয়ে "আমার কথা"। আত্মস্মৃতিমূলক লেখাগুলির পাশাপাশি এই বইতে ধরা রইল শীর্ষেন্দুর কলমে কিছু বিশিষ্ট মানুষদের নিয়ে স্মৃতিকথা যারা তার চিন্তা-ভাবনা এবং লেখাকে প্রভাবিত করেছেন বারে বারে। সাগরময় ঘোষ থেকে সমরেশ বসু, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী থেকে মাদার টেরেজা, সত্যজিৎ রায় থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রয়েছে মোট আটটি স্মৃতিকথার ভান্ডার। এই লেখাগুলির পাশাপাশি রয়েছে তিনটি বিরল সাক্ষাৎকার। না কোন সাংবাদিকের নেওয়া শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার নয়, বরঞ্চ সাংবাদিক শীর্ষেন্দুর নেওয়া তিনটি অতি বিরল সাক্ষাৎকার, আর উল্টোদিকে কারা বসে রয়েছেন?? সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, গনেশ পাইন এবং সত্যজিৎ রায়। সাংবাদিক শীর্ষেন্দুকে জানার জন্যই হয়তো এই বইটি হাতে তুলে নেওয়া যায়। শীর্ষেন্দুর কলমে তো তার মনন এবং দর্শনের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া গেল বৈঠকীতে। কিন্তু মানুষ হিসেবে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় কেমন ছিলেন?? কেমন ছিল তার প্রভাব তার সমসাময়িকদের এবং পরবর্তী প্রজন্মের লেখকদের মধ্যে?? বৈঠকিতে উঠে এসেছে এরকমই কিছু লেখা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে, সেই ব্যাপারে কলম তুলে নিয়েছেন তার সমসাময়িকরা, যেমন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, আবুল বাশার, দিব্যেন্দু পালিত প্রভৃতি এবং পরবর্তী প্রজন্মের বিনোদ ঘোষাল, কৌশিক মজুমদার, সমৃদ্ধ দত্ত, অমিতাভ সিরাজ প্রভৃতি বিখ্যাত লেখকরা। শুধু তাই নয় পিতা হিসেবে এবং একজন সাংসারিক মানুষ হিসেবে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় কেমন তা আমরা জানতে পারি তার কন্যা দেবলীনা মুখোপাধ্যায়ের লেখাটিতে। এর পাশাপাশি রইলো শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের প্রচুর দুর্লভ ছবি।