বিবরণ
‘জীবন অনেক বড়’ এ কথাটা হরদম বলা হয়ে থাকে বটে— তবে তাতে তত গুরুত্ব থাকে না। মাঝে মাঝে কথাটা মাথা উঁচু করে ওঠে— তেমন এক একটা জীবনের কথা জানলে। এই কাহিনির কর্মপুরুষ, একজন ব্যক্তিমানুষ। তিনি লিখেছিলেন, তাঁর জীবনযাপন। লিখেছিলেন দৈনন্দিনতা ছাপিয়ে ভাবনার কথা, লিখেছিলেন দৈনন্দিনতার কথা। কর্মযোগী একজন মানুষ বটে, দোষে গুণে। তাঁর সেই লিখে রাখা পাণ্ডুলিপি খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁর পুত্র, এ কাহিনির লেখক। তিনি সেই পুঁথিতে অনুপ্রবেশ করেছেন, কখনো তাঁর ঢুকে পড়া সিংহদুয়ার দিয়েই যেন। লেখকের, অর্থাৎ এখানে কথকের নিজের ভাষ্য আর পুঁথির ভাষ্য মূলগতভাবে পৃথকই থেকেছে, মিলে-মিশে যাওয়ানোর চেষ্টা কাহিনির উদ্দিষ্ট ছিল না। ভাষ্য যখন পৃথক, ভাষাও। এই কাহিনি, জীবন ও সংগ্রামের কাহিনি যেমন, তেমনই ভাষা ও ইতিহাসেরও। পাল্টে পাল্টে যাওয়া জবান, সেই উত্তর-পূর্বের ও বাংলাদেশের— বদলে যেতে থাকা রাজনীতির ও জীবন-নৈতিকতার এই কাহিনি। এই কাহিনি পাঠককে মনে করিয়ে দেবে, জীবন অনেক বড় বটে! নানারকম মানচিত্র এঁকেও তাকে ধরা যায় না।