Menu

কালিন্দী

Kalindi
₹ 255 ₹ 300
15 %

বিবরণ

কালিন্দী নদীর গর্ভে সম্প্রতি এক চর জাগিয়াছে। চরটির জন্ম হইবার সাথে সাথে উহার মালিকানার দাবীদারেরও জন্ম হইয়া গিয়াছে। গ্রামের লোকজন, মহাজন, জমিদার প্রায় সকলের ই চরের ভাগ চাই। এদের মধ্যে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মহীন্দ্র চক্রবর্তী আর ইন্দ্র রায়।রায় আর চক্রবর্তীদের বিরোধ আজ একদিন দুদিনের নয়। কয়েকপুরুষের বিরোধ। তবে সেই বিরোধ ভাঙিবার চেষ্টা উভয়পক্ষের পুরুষদের চাইতে স্ত্রীদেরই বেশি করিতে দেখা গিয়াছে। তখনকার সময়ে বিরোধ মিটাইবার সবচাইতে উপযুক্ত পন্থা ছিলো বিবাহ বন্ধন। তারা ঠিক করিলেন যে এই পক্ষের কারু সাথে অপরপক্ষের কারুর বিবাহ দিয়ে দেওয়া যাক। সে মতেই রামেশ্বর চক্রবর্তীর সাথে ইন্দ্র রায় তার ভগিনীর বিবাহ দিয়াছিলেন। কিন্তু কয়েক বৎসর বাদে ইন্দ্র রায়ের ভগিনী রামেশ্বরের সংসার ত্যাগ করিয়া অন্যত্র চলিয়া যান (ঘটনা অন্য)ওখান থেকে দু পক্ষের সংঘাত আবার আরম্ভ হয়। ব্যস দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ৷ ও বাড়ির কেউ এ বাড়ির নাম মুখে নেয় না আর এ বাড়ির কেউ ও বাড়ির নাম, শুধু তাই নয় বিষয় সম্পত্তি লইয়াও ইহাদের মধ্যে শীতল কলহ চলিতেছিলো। এরমধ্যে রামেশ্বর দ্বিতীয় বিবাহ করিয়াছেন। দ্বিতীয় পক্ষে তাহার দুইটি পুত্র হইয়াছে। সময়ের সাথে সাথে রামেশ্বর মানসিক ভাবে দুর্বল হইয়াছেন ঘর থেকে তেমন বের হন না সুতরাং সম্পত্তি যা আছে তা দেখভাল করে বড়ছেলে মহীন্দ্র। এই চরটি লইয়াও মহীন্দ্রর সাথে ইন্দ্র রায়ের লাগিয়া গেল।ইন্দ্র রায় একজনকে নিযুক্ত করেন যে মহীন্দ্র চরে গেলে তাকে ভালোমতো অপমান করিয়া দিবে।তা রায়মশাই যোগ্য লোক প্রেরণ করিয়াছিলেন বটে। সেই লোক আবার অপমান করিতে করিতে তাহার ই ভগিনী অর্থাৎ রামেশ্বরের প্রথম স্ত্রী লইয়া কটু মন্তব্য করিয়া ফেলিলেন। মহীন্দ্র চরে শিকার করিতে আসিয়াছিলেন, হাতে বন্দুক ছিলো। চূড়ান্ত মুহূর্তে বন্দুকের সদ্ব্যবহার করা হইলো।এরপর যা হইবার তাহাই হইলো…অর্থাৎ গল্পের কেবল আরম্ভ হইলো।
Page No: 233
Size: Demy