পরিচয় করাতে গিয়ে জন্ম, পেশা ইত্যাদি সম্বন্ধে শুধু কয়েকটা নীরস তথ্য নাই বা দিলাম। তার চেয়ে বরং এই উপন্যাসের জন্ম হল কীভাবে, সেকথা বলি। আমার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘বিনি পয়সার বায়োস্কোপ’ স্বপ্ন দেখিয়েছিল আমায়। কিন্তু সেই স্বপ্নে গল্পের চরিত্ররা অভিযোগ জানাতে শুরু করল এই বলে যে তাদের জীবনকাল অত্যন্ত স্বল্প। কতকিছু দেখা, জানা বাকি রয়ে গেল তাদের। দু-চার পাতায় জীবনকে আর কতটুকুই বা ছোঁয়া যায়? ... বেশ... ঠিক করলাম এবার চরিত্রদের অনেকখানি সময় দেব। দেখাই যাক, কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। একেবারে বাস্তব কিছু চরিত্র তুলে ধরতে চাইলাম। এতটাই বাস্তব যে নিজেরই ভয় করতে লাগল, আশেপাশে যাদের দেখছি তারাই না কপিরাইট স্ট্রাইক দেয়! তবুও সাহস করে গড়ে তুললাম... একটু একটু করে। হোঁচট খেলাম, রক্তাক্ত হলাম, গভীর ক্ষত তৈরি হল মনে। কিন্তু থামতে পারিনি। এ যেন এক অভিশাপের মতো। যে অভিশাপ বয়ে নিয়ে আসে একরাশ বিষণ্ণতা। এই কাহিনি লিখতে গিয়ে আমার যা অবস্থা হয়েছে, পড়তে গিয়ে আপনারও হয়তো তেমনই... তবু যা লিখেছি শুরুর পাতা থেকে শেষ পর্যন্ত, ওইটুকুই আমার পরিচয়। তার বাইরে আমি আর কিচ্ছুটি নই।