বিবরণ
সারভাইভাল অফ দি ফিটেস্ট... চিরন্তন এই সত্যবচনের গোলকধাঁধায় ঘুরতে ঘুরতে উত্তীর্ণ হয়েছে বর্তমানের সভ্য মানুষ। বিশ্বায়নের বিস্ফোরণে উন্নতোতর মানুষের দরজায় পদার্পণের অপেক্ষারত। সেইখানে দাঁড়িয়ে মাত্র চার দশক আগে ফিরে যাওয়া। সাক্ষী হওয়া আদিম বন্য কীর্তির।
পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়। একদা বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে মাটির আদিতম সন্তানদের এক উৎসবের সমারোহ বসত এই পাহাড়ে। তীর-ধনুক, বর্ষা, বল্লম প্রভৃতি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাঁওতাল পুরুষেরা সেদিন শিকার করতে আসত। ফুটিয়ে তুলত ইতিহাসের বুকে হারিয়ে যাওয়া কোনও চিত্রপট। আর এই উৎসবের উদ্যোক্তা ছিল তৎকালীন ভারত সরকার।
তরুণ বয়সের লেখক সদলবলে সাক্ষী থাকতে পেরেছিলেন আকস্মিকভাবে এই উৎসবের। চাক্ষুস করেছিলেন শার্দুল শিকার। বল্লমে গাঁথা বন্য বরাহের দেহ ঘিরে উল্লাসের কাহিনী লিপিবদ্ধ করেছিলেন দীর্ঘ চার দশক আগে।
তারপর...জঙ্গলের সরল আদিমতা রূপ বদল করে সভ্যতার জটিল আদিমতা হয়ে সামনে এসে দাঁড়ায়। তৎকালীন দুই বিখ্যাত পত্রিকাতেই লেখাটির দুটি পর্ব প্রকাশিত হয়। আর জটিলতার ঘূর্ণাবর্তে শিকার হন লেখক। এক রাতের জেল হেফাজতে যে শিকারের সমাপ্তি ঘটে। সভ্যতা... সারভাইভাল অফ দি ফিটেস্ট।
সেই অভাবনীয় শিকারকাহিনীর সম্পূর্ণ বিবরণীর সঙ্গে স্থান করে নিয়েছে আরও দুটি অধ্যায়। একটি দুই পত্রিকার বিবাদ এবং লেখকের বিতর্কিত কারাবাস অধ্যায়। এবং আরেকটি হল তরুণ লেখকের প্রথমবার সমরেশ বসুর সঙ্গে এই লেখার সূত্রে আলাপনের পর্ব। থাকছে সেই সময়ে লেখক কর্তৃক সংগ্রহ করা কয়েকটি রঙিন চিত্র।