বিবরণ
আপাদমস্তক কলকাত্তাইয়া; জন্ম, লায়েক হওয়া ও কর্ম সবই কলকাতাকেন্দ্রিক। মনেপ্রাণে গ্লোবাল-গ্রামের বাসিন্দা হবার চেষ্টা থেকে গেছে ও যাবে আজন্মকাল। লেখালিখি ছোটো, মাঝারি, বড় ম্যাগাজিন থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি কবিতা ও গদ্যের বইয়ে গিয়ে ঠেকেছে। কোনোকিছুই মসৃণ ৯; হোঁচট ও ঠোক্করে ভরা, বলা বাহুল্য। তারই একটা কাসাহারা— শান্তিনিকেতনে সঙ্গীতভবনের কাছাকাছি একটি ক্যাফে। কখনও, কোনো এক বিদেশি ছাত্র এখানে ট্রি-হাউস বানিয়ে থাকার চেষ্টা করে বেশ কিছু সময় কাটিয়েছিলেন। পরে, পাশ দিয়ে কর্মসংস্থানের বা অন্য কারণে অন্যত্র পাত্তাড়ি গোটান। কিন্তু ট্রি-হাউসটি নারায়ণশিলার ন্যায় থেকে যায়। আর সেখানেই এখন, মাশাল্লাহ, একটি ক্যাফে গড়ে উঠেছে। গড়পড়তা, ক্যাফেতে যেমন আড্ডা, খানাপিনা হয়, এটিও তেমন। সেসব নিয়েই লেখাগুলি। কবিতাগুলিতে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আন্ধেরাও এসেছে। এবং পরাবাস্তবতা। সেখানকার ছেলে-মেয়েগুলিও গুটিগুটি চলে যে এসেছে, তা পড়লেই মালুম হবে। এ লেখা অনেক আলোর মাঝে একটি নেবা মোমবাতির সামনে আপনাকে বসাবে। তাদের অন্ধকারগুলি চেনানোর চেষ্টা করবে। সামান্য প্রশ্রয় দিলে, শেষে গিয়ে, আপনিও হয়তো তাদেরই একজন হয়ে উঠবেন। যাবেন, কিন্তু, ফিরে আসবেন কি? আসতে চাইবেন কি আদৌ ফিরে?
ওয়ান ওয়ে ট্রাফিকরুটে আপনাকে স্বাগত।