Menu

স্মৃতিকথা সমগ্র

Smritikatha Samagra
₹ 170 ₹ 200
15 %

বিবরণ

বৈপ্লবিক নারী চরিত্র ঠাকুর বাড়ির মেজো বৌমা জ্ঞানদানন্দিনী দেবী । আজকের বাঙালি নারীদের আধুনিক ভাবে শাড়ী পরার ধরন ও ব্লাউজ পরার প্রথার প্রচলন তার হাত ধরেই। একথা অবশ্যই ফেলে দেওয়া যায়না তাঁর স্বামী সত্যেন্দ্রনাথের ভূমিকা। তিনি তাঁর স্ত্রীকে অবলা মনে না করে, পারবে এই দৃঢ় বিশ্বাস সহ একা বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার মতো দুঃসাহস না দেখালে, তিনি যে কতখানি ঠাকুরবাড়ির রক্ষণশীল মানসিকতার বিরূদ্ধে লড়াই করতে সমর্থ হতেন তা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন থাকে। তবুও স্বামী বিদেশে থাকাকালীন তাঁর লড়াই ঠাকুর বাড়ির রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে জারি ছিল । এমন কি প্রতিবাদী নারী স্বামীর হাত ধরে জোড়াসাঁকো ছাড়লেন আর ফিরলেন না। পরে কোলকাতা ফিরলেও ওই বাড়িতে পদার্পণ না করে বালিগঞ্জের বাড়িতে থাকলেন। পরবর্তীকালীন ঠাকুরবাড়ির অন্যান্য দের স্মৃতিকথাতেও পাওয়া যায় বালিগঞ্জের মুক্ত পরিবেশ, সেখানে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে যেত সকলে। রবীন্দ্রনাথের বিদেশ যাত্রার পূর্বে পিতা তাঁকে যথাযথ প্রস্তুতির জন্য পাঠান রাঁচীতে সত্যেন্দ্রনাথ ও জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর কাছে । সেখানে গিয়ে তিনি বিদেশী আদবকায়দা শিখবেন এই ছিল তাঁর পিতার বাসনা । কিন্তু মুক্ত প্রকৃতিতে জ্ঞানদানন্দিনীর তত্ত্বাবধানে সমবয়সী ভাইপো-ভাইঝির সাথে খেলে কাটালেন রবীন্দ্রনাথ। সত্যেন্দ্রনাথ রাতে খেতে বসার সময় চামচ ও কাঁটা ধরার পদ্বতি তাঁকে দেখালেন হাতে করে । তারপর নিজে কাঁটা-চামচ পাশে রেখে হাত দিয়ে খেতে শুরু করে বললেন, এটাই তোমার সংস্কৃতি তাই একে ছেড়ো না । এভাবেই ছোট ছোট শিক্ষা দিয়ে রবীন্দ্রনাথ-কে এক বিশ্ব মানব রূপে গড়ে তুলেছিলেন, তাঁর মেজোদাদা-বৌঠান । প্রশ্রয় এক ভাবে ব্যক্তির পূর্ণ বিকাশে সহায়ক, এই দিল তাঁদের বিশ্বাস । বিদেশে গিয়ে ভাই যখন পড়াশুনো না করে তাঁর বন্ধুর দুই মেয়ের সাথে প্রেমে মেতে উঠে গান লিখে সংগীত চর্চা করে সময় কাটাচ্ছিলেন, তখনও অভিভাবক সরূপ তিনি তাঁর বিকাশে ও ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে যাননি। সময় সব ঠিক করবে এই বিশ্বাস রেখেছিলেন আর তাই হয়ে ছিল। ব্যারিস্টারী পরীক্ষায় ফেল করে রবীন্দ্রনাথ জয়লাভ করেছিলেন জীবনের লড়াই-তে । আর রবীন্দ্রনাথের রবীন্দ্রনাথ হওয়ার পিছনে এই দম্পতির ভূমিকা অনস্বীকার্য । সেই বিপ্লবী নারীর লড়াই-এর গল্প “স্মৃতিকথা সমগ্র”।
Page No:
Size: Demy