বিবরণ
ক্ষণজন্মা বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর লেখা কোথাও যেন হারিয়ে গেছে। সম্ভাবনাময় ঠাকুর বাড়ির এই সন্তানটির ভাগ্য খুব একটা ভালো ছিল বলে মনে হয় না। জন্ম নেন পাগল পিতার সন্তান হয়ে। অতঃপর যদিও রবীন্দ্রনাথের সাহচর্য্য পান। একত্র ব্যবসাও শুরু করেন। কথাতেই রয়েছে অর্থ অনর্থের মূল।
যদিও বলেন্দ্রনাথের মৃত্যুর পরবর্তী ঘটনা গুলোতে মনে হয়না, কেবল অর্থ দুরত্বের কারন হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের সাথে তাঁর স্নেহের ভ্রাতুস্পুত্রের। এর পিছনে পারিবারিক নানা সমস্যা ছিল, সেই দিকেই ঘটনা গুলো নির্দেশ করে।
বলেন্দ্রনাথের মৃত্যুকালে তাঁর স্ত্রী সাহানা দেবী ষোড়শী(ষোড়শ বর্ষের বালিকা)। তাঁর জীবন ও বলেন্দ্রনাথের মাতা প্রফুল্লময়ী দেবীর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে অদ্ভুতভাবে বলেন্দ্রের মৃত্যুর পর।
ঠাকুরবাড়ি থেকে তাদের মাসোহারা কমিয়ে দেওয়া হয় অস্বাভাবিক ভাবে। অন্যেরা যা মাসোহারা পেতেন এক এক জন তার প্রায় দশ ভাগের এক ভাগ পেত এই পরিবারটি একত্রে।
যাইহোক সেই পারিবারিক কেচ্ছা কিনবা তাঁদের জীবন কী কী ভাবে ঠাকুরবাড়ি বিদ্ধস্ত করেছিল তা আমাদের আলোচনার বিষয় নয়। বিষয় হল এই ক্ষণজন্মা প্রতিভাবান কবি-প্রাবন্ধিকের লেখাও হারিয়ে গেল তাঁর সাথেই।
সাহানা দেবীর একাধিকবার অনুরোধ সত্বেও বিশ্বভারতী কোনো আগ্রহ প্রকাশ করল না বলেন্দ্রনাথের লেখা ছাপতে। ফলত সাহিত্যিক বলেন্দ্রনাথকে আমরা অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছি।