চোদ্দ বছর বয়সে ছাপার অক্ষরে রচনা প্রকাশিত হওয়া, খুব মুখের কথা নয়। ১৯০৩ সালে প্রসাদদাস রায়ের লেখা গল্প আমার কাহিনী প্রকাশ পেল বসুধা পত্রিকায়। যিনি হেমেন্দ্রকুমার রায় (১৮৮৮-১৯৬৩) নামে খ্যাত। বিমল-কুমার, জয়ন্ত-মানিক, ডিটেকটিভ হেমন্ত, পুলিশকর্মী সুন্দরবাবু—এসব চরিত্রের রচয়িতা সম্পাদনা করেছেন নাচঘর, রংমশাল, ইত্যাদি পত্রিকা। আশিটিরও বেশি কিশোরপাঠ্য বই লিখেছিলেন হেমেন্দ্রকুমার রায়। এ ছাড়া প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও বেশ কিছু বই রয়েছে তাঁর। অনেকেই জানেন না, হেমেন্দ্রকুমার রায় ছিলেন একজন সফল গীতিকার। এমনকি শিশিরকুমার ভাদুড়ীর সীতা নাটকের নৃত্য পরিচালনাও করেছিলেন। তাঁর প্রাসঙ্গিকতা তথা জনপ্রিয়তা স্পষ্ট হয় একটি তথ্যের দিকে চোখ রাখলে। হেমেন্দ্রকুমারের কাহিনি নিশীথিনী অবলম্বনে বাংলা ভাষায় জিঘাংসা ও হিন্দি ভাষায় বিশ সাল বাদ চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল যথাক্রমে ১৯৫১ ও ১৯৬২ সালে। আর ২০১৭ সালে তাঁর যকের ধন ছবিটি বাংলায় চলচ্চিত্রায়িত হয়। হেমেন্দ্রকুমার বাংলা ভাষার জনপ্রিয় লেখক শুধু নন, একজন অন্যতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বও বটে।