চন্ডীগড় পিজিআই–তে সেরা স্নাতক এবং সমগ্র প্রতিষ্ঠানের সেরা আউটগোয়িং স্টুডেন্ট হিসেবে কাটারিয়া গোল্ড মেডেল প্রাপ্তি। এ কৃতিত্ব সহজলভ্য নয়। সেই থেকে মাথায় ক্রমাগত গবেষণা আর অধ্যাপনার পোকা নড়া। ডাঃ সন্দীপন ধর ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বার্মিংহ্যাম চিলড্রেন্স হসপিটাল–সহ বিশ্বের বহু নামী মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে বক্তব্য পেশ করে ভারতকে গর্বিত করেছেন। হাতছানি ছিল বিদেশে স্থায়ী বসবাসের। ফিরে এসেছেন দেশের টানে, দেশকে তাঁর অর্জিত জ্ঞান ফিরিয়ে দিতে। সেবার আদর্শ থেকে একদিনও বিচ্যূত হননি। পুরানো দিনের বাংলা আর হিন্দি গান বড্ড টানে। হেমন্ত, মান্না, শ্যামল, ভূপেন, লতা, আশা, রফি আর কিশোর নিয়ে তাঁর নিজস্ব গান–ভুবন। বক্তৃতায় যেমন, আবৃত্তিতেও সমান পারদর্শী। মনের আনন্দে নিজে গেয়েও থাকেন প্রাণের ছন্দে। চেখে দেখেছেন গোটা পৃথিবীর সেরা বাছাই কুইজিন। কিন্তু প্রাণ কাঁদে বাড়ির রান্না ডাল–ভাতের জন্য। আলুভাজা, মাছভাজা, চপ, বেগুনি, শিঙাড়া, মুড়ি আর এগ রোলের জন্য সব ছাড়তে রাজি! আদ্যন্ত জীবনরসিক, প্রচণ্ড রোম্যান্টিক ও চিরদিন স্পর্শকাতর বড্ড। তাই তো বেছে নেওয়া ত্বকবিদ্যা। জন্ম হাওড়ার শিবপুরে। ডাক্তারির প্রাথমিক পাঠ কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তারপর চন্ডীগড় পিজিআই থেকে উল্কাগতির আরোহণ। পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কোনওদিন সে উত্থানে। এখন বিশ্বজনীন উপস্থিতি। দেশে তো বটেই, পৃথিবীর সেরা ও তাবড় সব আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রে তাঁর বর্ণময় উপস্থিতি কেউ ভুলতে পারেন না। দেশকে প্রতিনিয়ত গর্বিত করছেন। পরিসর ক্রমশ সীমাবদ্ধ করে অর্জুনের মতো দৃষ্টি নিবদ্ধ আপাতত পেডিয়াট্রিক ডার্মাটোলজি এবং অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিসে। তাই এখনও জান কবুল করে রোজ পড়া আর গবেষণায় প্রতিটা রাত ভোরের দিকে ঢলে পড়ে। স্ত্রী শুভ্রা নিজে প্রখ্যাত হিস্টোপ্যাথলজি বিশেষজ্ঞ, তবু পরিবারের স্তম্ভ। একমাত্র কন্যা শারভির দিকে তাকিয়ে রোজ নতুন করে বাঁচতে শেখা।