Menu
team

দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়

বিশ শতকের অন্যতম প্রথিতযশা সাংবাদিক এবং সাহিত্যিক ছিলেন দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় জন্মগ্রহণ করলেও দেওঘরে পড়াশোনা শেষ করে কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজে ভর্তি হন। ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।ছাত্রাবস্থা থেকে বামপন্থী রাজনীতির সাথে যুক্ত দীপেন্দ্রনাথ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন ১৯৫৪ সালে। ১৯৫৮ সাল থেকে সর্বক্ষনের পার্টি কর্মী হিসেবে কাজ কর‍তে থাকেন। ১৯৫৩ সাল থেকে বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা 'পরিচয়' এ সম্পাদনা ও লেখালিখি করেছেন। সিপিআই পার্টির মুখপত্র কালান্তর দৈনিকের সম্পাদনার মাধ্যমে তার সাংবাদিক জীবন শুরু হয়। প্রকাশকালের শুরু থেকে তিনি এখানে সাংবাদিকতা করেছেন।তার 'রিপোর্টাজ'গুলি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সাহিত্যগুনে সমৃদ্ধ ছিল। সারা ভারত প্রগতি লেখক সংঘের সম্পাদক ছিলেন।দীপেন্দ্রনাথের রচনা মননশীল পাঠকদের কাছে অত্যন্ত সমাদরপ্রাপ্ত ও অগ্রগণ্য। তার উপন্যাস ও ছোটগল্প ছাড়াও রিপোর্টাজগুলি উন্নতমানের সাহিত্য হিসেবে বিবেচিত হয় বাঙালি পাঠকমহলে। তার প্রথম উপন্যাস 'আগামী (মাঝি)' প্রকাশিত হয় ১৯৫১ খ্রীষ্টাব্দে (১৩৫৮ বঙ্গাব্দের ১৫ কার্তিক)। অন্যান্য উপন্যাসগুলির মধ্যে 'তৃতীয় ভুবন (অক্টোবর ১৯৫৭)', 'গগন ঠাকুরের সিঁড়ি (চৈত্র ১৩৬৮)' এবং 'বিবাহবার্ষিকী (অক্টোবর ১৯৭৭)' পাঠকমহলে সাড়া ফেলে। গল্পগুলোর মধ্যে 'গ্রহণ (১৯৫২)', না (১৯৫২), শাঁখা-সিঁদুর (১৯৫৬), ঘাম (১৯৫৮), চর্যাপদের হরিণী (১৯৫৯), অশ্বমেধের ঘোড়া (১৯৬০), উৎসর্গ (১৯৬২)[২] ইত্যাদি তার সাহিত্যমেধার পরিচয়জ্ঞাপক। নকশাল বিদ্রোহ ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিগুলির আভ্যন্তরীণ ভাঙ্গন বিষয়ে তার গল্প 'শোকমিছিল (১৯৭৭)' এক মর্মস্পর্শী আখ্যান পেশ করে সেই সময়ের দলিল হিসেবে।

দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বইগুলি